গোয়াইনঘাট
৫১ বছর পর বুদ্ধিজীবী দিবসে গণকবরে শ্রদ্ধা
গোয়াইনঘাটে গত বুধবার ২৩ শহীদের গণকবরে প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলি-সমকাল
জাকির হোসেন, গোয়াইনঘাট (সিলেট)
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০
স্বাধীনতার ৫১ বছর পর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার একটি গণকবরে শায়িত শহীদরা পেলেন প্রথম শ্রদ্ধাঞ্জলি। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে তাঁদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বিকেলে গোয়াইন নদীর তীরবর্তী পূর্ণানগরে প্রায় নিশ্চিহ্ন ২৩ জন শহীদের গণকবরে প্রথমবারের মতো ফুল দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বিজয় দিবসের দিন এ গণকবরের স্মৃতিসৌধ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে ইউএনও তাহমিলুর রহমান বলেন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা খাত থেকে দুই লাখ টাকা বরাদ্দের মাধ্যমে বধ্যভূমি সংরক্ষণ এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। আজ বিজয় দিবসের দিন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি উপজেলার বারহাল ও পূর্ণানগর এই দুটি বধ্যভূমির স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক কমান্ডার আব্দুল হক বলেন, উপজেলায় বারহাল, হাটগ্রাম ও তামাবিলে আরও তিনটি বধ্যভূমি বা গণকবর রয়েছে। যেখানে প্রতি বছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অথচ সেই তালিকায় কখনোই নাম ওঠেনি উপজেলার সবচেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ২৩ শহীদের গণকবর পূর্ণানগর বধ্যভূমিটির। স্বাধীনতার ৫১ বছর পরে হলেও এই বিজয়ের মাসে শহীদদের গণকবরে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং প্রায় নিশ্চিহ্ন গণকবরটি রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জুনের এক সকালে পাকিস্তানি সেনারা পূর্ব জাফলংয়ের নয়াগাঙের পাড় গ্রামে প্রবেশ করে। এরপর তারা ওই গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য আব্দুর রহমান, নওশের আলী, কেরামত আলী, নবাব আলী ও মোক্তার খান, বাউরবাগ গ্রামের ঠান্ডু মিয়াসহ ১৪ জনকে এবং নয়াবস্তি ও কান্দুবস্তি গ্রামের আব্দুস সাদিক, হোসেন আলীসহ আরও পাঁচজনকে ধরে পূর্ণানগরে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বিকেলে গোয়াইন নদীর তীরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। পাকিস্তানি বাহিনী তাদের হত্যা করে চলে যাওয়ার পর স্থানীয় গ্রামবাসী ১৯ শহীদকে ওই স্থানে কবর দেন। পরে উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের দু'জন, লুনী গ্রামের একজন ও লাতু গ্রামের একজন পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়ে মারা গেলে তাদেরও একই স্থানে কবর দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে গণকবরটিতে মোট ২৩ জন শহীদকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতায় নিজেদের জীবন বিসর্জন দিলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, নদীভাঙন ও বন্যার তোড়ে প্রিয় মাতৃভূমি থেকে এক রকম মুছে গিয়েছিল শহীদদের গণকবরটি। প্রায় নিশ্চিহ্ন ইতিহাসের সাক্ষী পূর্ণানগরের গণকবরটি অর্ধশতাব্দী ধরে ছিল উপেক্ষিত, অরক্ষিত, অযত্ন আর অবহেলায়।
উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বিকেলে গোয়াইন নদীর তীরবর্তী পূর্ণানগরে প্রায় নিশ্চিহ্ন ২৩ জন শহীদের গণকবরে প্রথমবারের মতো ফুল দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বিজয় দিবসের দিন এ গণকবরের স্মৃতিসৌধ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে ইউএনও তাহমিলুর রহমান বলেন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা খাত থেকে দুই লাখ টাকা বরাদ্দের মাধ্যমে বধ্যভূমি সংরক্ষণ এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। আজ বিজয় দিবসের দিন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি উপজেলার বারহাল ও পূর্ণানগর এই দুটি বধ্যভূমির স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক কমান্ডার আব্দুল হক বলেন, উপজেলায় বারহাল, হাটগ্রাম ও তামাবিলে আরও তিনটি বধ্যভূমি বা গণকবর রয়েছে। যেখানে প্রতি বছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অথচ সেই তালিকায় কখনোই নাম ওঠেনি উপজেলার সবচেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ২৩ শহীদের গণকবর পূর্ণানগর বধ্যভূমিটির। স্বাধীনতার ৫১ বছর পরে হলেও এই বিজয়ের মাসে শহীদদের গণকবরে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং প্রায় নিশ্চিহ্ন গণকবরটি রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জুনের এক সকালে পাকিস্তানি সেনারা পূর্ব জাফলংয়ের নয়াগাঙের পাড় গ্রামে প্রবেশ করে। এরপর তারা ওই গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য আব্দুর রহমান, নওশের আলী, কেরামত আলী, নবাব আলী ও মোক্তার খান, বাউরবাগ গ্রামের ঠান্ডু মিয়াসহ ১৪ জনকে এবং নয়াবস্তি ও কান্দুবস্তি গ্রামের আব্দুস সাদিক, হোসেন আলীসহ আরও পাঁচজনকে ধরে পূর্ণানগরে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বিকেলে গোয়াইন নদীর তীরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। পাকিস্তানি বাহিনী তাদের হত্যা করে চলে যাওয়ার পর স্থানীয় গ্রামবাসী ১৯ শহীদকে ওই স্থানে কবর দেন। পরে উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের দু'জন, লুনী গ্রামের একজন ও লাতু গ্রামের একজন পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়ে মারা গেলে তাদেরও একই স্থানে কবর দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে গণকবরটিতে মোট ২৩ জন শহীদকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতায় নিজেদের জীবন বিসর্জন দিলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, নদীভাঙন ও বন্যার তোড়ে প্রিয় মাতৃভূমি থেকে এক রকম মুছে গিয়েছিল শহীদদের গণকবরটি। প্রায় নিশ্চিহ্ন ইতিহাসের সাক্ষী পূর্ণানগরের গণকবরটি অর্ধশতাব্দী ধরে ছিল উপেক্ষিত, অরক্ষিত, অযত্ন আর অবহেলায়।
- বিষয় :
- শহীদ বুদ্ধিজীবী
- শহীদের গণকবর
- বধ্যভূমি
- স্মৃতিসৌধ