ঢাকা বুধবার, ২১ মে ২০২৫

কম বৃষ্টিতে ভাদ্রেই মিলছে শীতের সবজি, দাম চড়া

কম বৃষ্টিতে ভাদ্রেই মিলছে শীতের সবজি, দাম চড়া

ছবি: সমকাল

আজিজুল হক সরকার, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৩:৫৫ | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৩:৫৫

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। অধিকাংশ বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি উঠলেও চড়া দামের কারণে ইচ্ছা থাকলেও কিনতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতারা। আষাঢ়-শ্রাবণে বৃষ্টি কম হওয়ায় ভাদ্র মাসেই আগাম জাতের এসব সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে।

সবজি ব্যবসায়ী শাহজামাল, হারুন মিয়া, মন্টু হোসেন ও শ্যামল দত্ত জানান, সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সবেমাত্র বাজারে আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে। সরবরাহ বেশি হলে খুচরা বাজারে দাম কমে আসবে। নতুন সবজি তাদেরও চড়া দামে কিনতে হয়। বিক্রিও করছেন চড়া দামে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার সুজাপুর, কৃষ্ণপুর, খয়েরবাড়ী, মুক্তারপুর, লালপুর, দৌলতপুর, শিবনগর, ভিমলপুরসহ সাতটি ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় সবজির চাষাবাদ হয়। নবাবগঞ্জের কয়েকটি গ্রামেও সবজি চাষ হচ্ছে। এসব সবজি ফুলবাড়ীসহ উত্তরাঞ্চলের বাজারে সরবরাহ করা হয়। উপজেলায় ৪৯০ হেক্টর জমি সবজি চাষের উপযোগী রয়েছে। চলতি খরিপ-২ মৌসুমে ৫৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।

রোববার পৌর এলাকাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বাঁধাকপি ৬০-৬৫ টাকা, ফুলকপি ৮০-৯০, মুলা ৪০, শিম ১২০-১৪০, বরবটি ৫০, টমেটো ১৬০-২০০, শসা ৩০-৫০, গাজর ১৮০-২০০ এবং লাউ প্রতিটি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য সবজির মধ্যে মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ৪০-৪৫ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০, কাঁকরোল ৪০-৪৫, আলু ৩৭-৫৫, বেগুন ৪৫-৫০, ঝিঙা ৩৫-৪০, পটোল ৩৫-৪০ ও ঢ্যাঁড়স ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি স্থানীয় জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। এ ছাড়া আদা ২৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৪০-১৬০, শুকনো মরিচ বিন্দু ৪৫০, কারেন্ট ৫০০, সাজনা ১৬০, পুঁইশাক ২০, চিচিঙ্গা ৪০-৫০, কচুর লতি ৫৫, পানিকচু প্রতিটি ৩০ ও ওল ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এ সময়ের তুলনায় অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

পৌর এলাকার কাটাবাড়ী গ্রামের এনজিওকর্মী হিরু মণ্ডল বলেন, ‘কী বাজার করব, ৪০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। ২ হাজার টাকার নিচে সপ্তাহের বাজার হয় না।’ ভ্যানচালক মাসুদ, হৃদয় ও রহিমের ভাষ্য, যা আয় হয়, সব খরচ হয়ে যাচ্ছে। কলেজ শিক্ষক আবু হেনা আবেশ বলছিলেন, আগে হাজার টাকায় সপ্তাহের বাজার হয়ে যেত। এখন ৩ হাজার টাকায়ও হয় না। বাজারে এলেই শুনতে হচ্ছে পণ্যের দাম বাড়ার কথা। বেতন তো বাড়ে না।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. শাহানুর আলম বলেন, সবজি আগাম উঠাতে পারলে লাভ বেশি। এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় সবজি আগে চাষ সম্ভব হয়েছে। সাধারণত কার্তিক মাসে শীতকালীন সবজি চাষ শুরু হয়। এ মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনেক কৃষক বেশি লাভের আশায় আগাম সবজির চাষ করেন। স্থানীয়ভাবে আবাদকৃত এ সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন

×