ঢাকা সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শেরপুরে বিনামূল্যে বিতরণের ৯ হাজার পাঠ্যবই জব্দ

শেরপুরে বিনামূল্যে বিতরণের ৯ হাজার পাঠ্যবই জব্দ

বৃহস্পতিবার ভোরে ৯ হাজার বই জব্দ করে পুলিশ।ছবি: সমকাল

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ২০:১০

নতুন বছরের জানুয়ারি মাস শেষ হতে চলেছে। মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা যখন বই না পেয়ে পড়াশোনা করতে পারছে না। ঠিক সেই সময় শিক্ষা বিভাগের কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারী অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবই চড়া দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। বিক্রি হওয়া সেই বই ধরা পড়েছে শেরপুরে।

বৃহস্পতিবার ভোরে ৯ হাজার বই জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মাইদুল হোসেন (৩৫) কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কেরুয়ারচরের জনৈক হারেজ আলীর ছেলে। অনেক রাঘব-বোয়াল এ ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এনএসআই (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা) জানতে পারে কুড়িগ্রাম থেকে  নতুন পাঠ্যবই ভর্তি একটি ট্রাক শেরপুর হয়ে রাজধানী ঢাকা যাচ্ছে। বিষয়টি তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।

বুধবার গভীর রাতে সদর থানার পুলিশ সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক সড়কের কুসুমহাটি এলাকায় অবস্থান নেয়। বৃহস্পতিবার ফজরের দিকে ধাতিয়াপাড়া এলাকায় ট্রাকটি আটক করে পুলিশ (ট্রাক নং- ঢাকা মেট্রো ড-১১-৮৩৯২)। ওই ট্রাকে তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ নতুন পাঠ্যবই উদ্ধার করা হয়। এ সময় চালকসহ দুইজনকে আটক করা হয়। পরে ট্রাকসহ বই শেরপুর সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। ট্রাক থেকে বইগুলো নামিয়ে দেখা যায় সেখানে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির গণিত, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের ৯ হাজার বই রয়েছে। এ সময় আটককৃতরা স্থানীয়দের জানায়, ঢাকায় একটি বেসরকারি বিদ্যালয় বইগুলো ক্রয় করেছিল। সেখানেই তারা বই নিয়ে যাচ্ছিল।

এদিকে বই বহন করা ট্রাকের চালক সজল মিয়া দাবি করেন, রৌমারী উপজেলার বাজার এলাকায় পাঠ্যবই পাচারকারী দলের সদস্যরা তার ট্রাকে বই তুলে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য চুক্তি করেন। এ সময় চালানপত্র চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। এতে তার সন্দেহ হয়। বিষয়টি তিনি স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তাকে জানান। পরে তারা সদর থানার পুলিশ নিয়ে ট্রাকসহ বই জব্দ করেন।

সকালে পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম থানায় আসেন। এ সময় তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে পুলিশ। সরকারের ভাবমূর্তি যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাচারের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় এক ব্যক্তির কাছে বইগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তদন্তের স্বার্থে তার নাম বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

আরও পড়ুন

×