ঢাকা বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার

স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার

পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহা

ফরিদপুর অফিস

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০৮:৫৮ | আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১০:০২

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামসুদ্দোহা (৪০) গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার রাজাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ। শুক্রবার সকালে তাকে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় আনা হয়েছে।

মো. শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে। ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার বিকান লেকসিটির কনকর্ড টাওয়ারে তার একটি ভাড়া বাসা রয়েছে। কর্মস্থল দর্শনা হলেও ঢাকার বাসায় প্রায়ই এসে থাকেন শামসুদ্দোহা।

কোতোয়ালি থানার ওসি এমএ জলিল বলেন, স্ত্রী ফারজানা খন্দকার তুলির করা নারী নির্যাতনের মামলায় পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামী রোববার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হবে। আপাতত তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

ওসি আরও বলেন, বাদীর লোকজন গুলশান থানার সহযোগিতায় শামসুদ্দোহাকে আটক করে। খবর পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের আসামিকে গুলশান থানা থেকে ফরিদপুরে নিয়ে আসেন।

তিনি বলেন, পুলিশ পরিদর্শকের স্ত্রী কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন ৯ ফেব্রুয়ারি। মামলায় তিনি যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগ আনেন।

মামলার বাদী ফারজানা খন্দকার তুলি বলেন, ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট পারিবারিকভাবে শামসুদ্দোহার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ফরিদপুরে বাবার বাড়িতেই অবস্থান করেন। ওই বছরের নভেম্বরে চাকরির সুবাদে শামসুদ্দোহা তাকে যশোর নিয়ে যান। সেখানে ভাড়া বাসায় বাস করার কয়েকদিন পর থেকেই স্বামীর আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তিনি।

তুলি আরও বলেন, ওই সময় তিনি জানতে পারেন অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে শামসুদ্দোহার। এতে বাধা দেওয়ায় তার ওপর নির্যাতন চালানো শুরু হয়।

তিনি বলেন, এর কিছুদিন পর পদোন্নতির জন্য বাবার কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা এনে দিতে বলে শামসুদ্দোহা। তিনি ওই সময় ১৫ লাখ টাকা এনে দিলেও খুশি হতে পারেননি তার স্বামী। ফলে নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। প্রতিদিন নেশা করে এসে তাকে মারধর করতেন। এক পর্যায়ে তিনি সেখান থেকে বাবার বাড়ি চলে আসেন। তখন তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাবার বাড়িতেই পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। সন্তানের মুখ পর্যন্ত এখনও দেখেননি শামসুদ্দোহা।

তুলি বলেন, বাবার বাড়িতে আসার পর শামসুদ্দোহা তাকে ফোন দিয়ে বলে- টাকা নিয়ে আসতে পারলে আসো, তা না হলে আসার দরকার নেই। নিরুপায় হয়ে পরে থানায় মামলা করেন তিনি।


আরও পড়ুন

×