ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

পেঁয়াজ-আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না: কৃষিমন্ত্রী

পেঁয়াজ-আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না: কৃষিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪:২০ | আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪:২০

পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেঁধে দিলেও সরকার তা বাস্তবায়ন করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। 

মন্ত্রী বলেন, সব বিবেচনায় এ বছর চাল উৎপাদন, বিতরণ এবং খাদ্য নিরাপত্তায় দেশ ভালো অবস্থায় আছে। আমরা পেঁয়াজ ও আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। এটি আমরা মেনে নিচ্ছি। এটি আমাদের দুর্বল দিক।

আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টায় হাল ছেড়ে দিয়েছেন কিনা– জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মোটেই হাল ছেড়ে দিইনি। উৎপাদনের বিষয়গুলো কৃষি মন্ত্রণালয়ের। বাজার মনিটর করার দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। এরপরও আমি দায়িত্ব এড়াতে পারি না। মন্ত্রিসভার সদস্যরা সামষ্টিকভাবে সব বিষয়ে দায়বদ্ধ।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা খুবই অসহযোগিতা করছেন। তারা ঠিকমতো সরবরাহ করছেন না। এটা বড় অন্তরায়। চাপ সৃষ্টি করলে তারা সরবরাহ বন্ধ করে দেন। ২০ টাকা খরচ হয় না, অথচ তারা ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি করছেন। মালিক-আড়তদাররা ব্যাপকভাবে মুনাফা করছেন।

জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত, এমনকি এই মরা কার্তিকেও চাল আমদানি করতে হয়নি জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত বোরো মৌসুমে চাল দুই লাখ টন বেশি সংগ্রহ করতে পেরেছি। এই মুহূর্তে বাজারের চালের দাম নিম্নমুখী। সরকারি দাম বেশি পাওয়ায় মিলাররা চাল দিতে আগ্রহী হচ্ছেন।  

পেঁয়াজ সংরক্ষণে নতুন প্রযুক্তি আনা হয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই প্রযুক্তিতে পেঁয়াজ রাখলে ৫ শতাংশও পচে না। এটা কাজে লাগাতে পারলে আগামী দুই বছরের মধ্যে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না। এছাড়া বিজ্ঞানীরা পেঁয়াজের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। এই পেঁয়াজ প্রতি হেক্টরে ৪০-৫০ টন উৎপাদন হয়। ফলে পেঁয়াজের সমস্যা থাকবে না।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনসহ কমিটির অন্য সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন