ঢাকা শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন

হার্ভার্ডে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী

হার্ভার্ডে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী

ছবি: সংগৃহীত

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৫ | ০৩:০২

গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক গুণ বেড়েছে ইসলাম ও ইহুদিবিদ্বেষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত দুটি টাস্কফোর্সের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস যখন বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে, তখন টাস্কফোর্স দুটি গঠন করা হয়েছিল।

আলজাজিরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজনের গভীরতা এবং ছাত্র-শিক্ষকরা কী ধরনের বৈষম্য ও বৈরিতার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। প্রতিবেদন দুটি এমন সময় প্রকাশ করা হলো, যখন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের। গাজা যুদ্ধ ও এ নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য নির্ধারিত ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি তহবিল স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। 

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থীই আশঙ্কা করেন, গাজা ইস্যুতে নিজেদের রাজনৈতিক মত প্রকাশ করলে একাডেমিক এবং পেশার ক্ষেত্রে শাস্তি পেতে হতে পারে। এ ছাড়া, মোট শিক্ষার্থীর অর্ধেকই মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাদের ওপর যে কোনো সময় হামলা হতে পারে। নাম প্রকাশ না করে এক শিক্ষার্থীর উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়েছে টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে। ওই শিক্ষার্থী বলেছেন, একজন মুসলিম শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা প্রতিনিয়ত আতঙ্ক বোধ করি। 

প্রতিবেদনের ফলাফল ঘোষণা করে হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন গারবার এক বিবৃতিতে জানান, যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ইহুদি, ইসরায়েলি ও জায়নবাদী গোষ্ঠীর সদস্যরা পরিচয় লুকিয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছেন।

অন্যদিকে মুসলিম, আরব ও ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক সহানুভূতির বদলে একে অন্যকে অবজ্ঞা করার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করছেন এবং একঘরে করে দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন

×