ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

অনলাইন গেমে যেসব ঝুঁকি!

অনলাইন গেমে যেসব ঝুঁকি!

.

মুস্তাফা তৌহিদ

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২২:৫২ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৮:০৩

স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ– অনলাইন গেমের নেশায় বুঁদ থাকেন অনেকেই। অফিসে কাজের ফাঁকে, মেট্রো বা বাসে যাতায়াতের সময় পথে অনেকেই গেম খেলতে থাকেন। তাদের অনেকে আমাদের প্রতিবেশী বা চারপাশের পরিচিত।
অনলাইন গেমের নেশায় অনেকে এতটাই নিমগ্ন থাকেন যে আশপাশে কী চলছে বা ঘটছে, সে সম্পর্কে খেয়ালই থাকে না। সাইবার অপরাধী চক্র ঠিক এমন সময় বা পরিস্থিতিকে বিবেচনা করে পরিকল্পনা করে। আপনার বা আমার মতো সাধারণ গ্রাহককে ফাঁদে ফেলতেই তাদের এমন প্রয়াশ। তাই নিজের সুরক্ষায় কয়েকটি কৌশল মেনে চলতে পারেন।
আগ্রহীরা যে গেম খেলতে চাইছেন, সেটি সব সময়ই বিশ্বস্ত বা ভেরিফায়েড অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করবেন। চারপাশে বহু দৃষ্টিনন্দন গেমের বিজ্ঞাপন দিয়ে ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে প্রতারণার ফাঁদ (লিঙ্ক) তৈরি করা হয়। তাই সতর্ক থাকবেন।
যা কিছু ক্ষতির কারণ
lঅনেক সময়ে মেসেজে লিঙ্ক পাঠিয়ে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিঙ্ক ছড়িয়ে গেমের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। কখনোই এসব লিঙ্কে ক্লিক করবেন না।
lনিয়মিত গেমিং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার যেন আপডেট করা হয়।
lকোনো গেমে অনলাইন প্রতিপক্ষের সঙ্গে চ্যাট করলেও কোনোভাবে নিজের কোনো ব্যক্তিগত বা দাপ্তরিক তথ্য, ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
lগেম খেলার সময় বা গেমের প্রতিপক্ষ কোনো লিঙ্ক পাঠিয়ে কোনো অজুহাতে যে কোনো ধরনের পেমেন্টের প্রস্তাব দিলে তাতে পা বাড়াবেন না।
lস্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থেকে গেমে অংশ নিচ্ছেন, সেই গ্যাজেটে অবশ্যই ভেরিফায়েড ও নিবন্ধিত অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টিম্যালওয়্যার ইনস্টল থাকা প্রধান শর্ত।
lভুলবশত গেমের মাধ্যমে কোনোভাবে কোনো ম্যালওয়্যার নিজের গ্যাজেটের সিস্টেমকে আক্রমণ করতে না পারে, সিকিউরিটি সেটিংস প্রয়োজন অনুসারে কনফিগার করে
নিতে হবে।
lগ্যাজেট থেকে গেমে অংশ নিয়েছেন, ওই স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ থেকে অনলাইন ব্যাংকিং লেনদেন বা দাপ্তরিক কাজ
না করাই শ্রেয়।
lগ্যাজেটে প্রয়োজনীয় কোনো ডেটা স্টোর করা থাকলে বিশেষ সতর্কতায় তা ব্যাকআপ এক্সটারনাল হার্ড ড্রাইভে নিতে পারেন। যেন কোনোভাবেই সিস্টেমে বিভ্রাট ঘটলে নিজস্ব ডেটার সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
lসুরক্ষিত ওয়াইফাই ও সিকিউরড নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে গেমে অংশ নেওয়া জরুরি।
lভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে গেমে অংশ নেওয়া শ্রেয়।
lবিশেষ কোনো গেমে অংশ নিতে হলে যদি ই-মেইল আইডি দিয়ে লগইন করতে হয়, তাহলে দাপ্তরিক বা নিজের জরুরি ই-আইডি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
lগেমিং অ্যাপ বা সেটা যে গ্যাজেটে ব্যবহার করছেন, সেখানে যদি অন্য কোনো জরুরি অ্যাপ থাকে, সবকটির জন্য কিছুটা জটিল পাসওয়ার্ড (বিশেষ চিহ্ন, সাইন, আপার ও লোয়ার কেস, নম্বর) ব্যবহার করলে ঝুঁকি অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব।
ডিজিটাল জগতে বিনোদনের জন্য অংশ নেওয়া যেতেই পারে, কিন্তু কোনোভাবে তা নেশায় পরিণত করা যাবে না। কারণ, নেশায় পরিণত হলে আজ না হয় কাল, ক্ষতির মুখোমুখি হতেই হয়– এমন সতর্কতার কথাই বলেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন

×