দরপতন

ব্যাপক দরপতন চলছে দেশের শেয়ারবাজারে। আজ বুধবার দুপুর ১টায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া প্রায় সব শেয়ারকে দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে।

ঈদের দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটি শেষে আজ রোববার দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন শুরু হয়েছে। অবশ্য শুরুটা হয়েছে কিছুটা দরপতনে, যা ছিল অনেকটাই প্রত্যাশিত।

ইলন মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান টেসলার বাজারমূল্য এত অল্প সময়ে এত বেশি কমেছে যে মাত্র কয়েক মাসে ৪৯ শতাংশ বাজারমূল্য হারিয়েছে।

শেয়ারবাজারের অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন একদল বিনিয়োগকারী। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর এসব বিনিয়োগকারী রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মানববন্ধন পালন করেন।

শেয়ারবাজারে আজ রোববারও ব্যাপক দরপতন হচ্ছে। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের কারণে আজ দুপুর ১টায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএস

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশের গত তিন সপ্তাহের অচলাবস্থার অবসান হয়েছে। স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে শেয়ারবাজারেও।

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য কঠিন সময় যাচ্ছে। দরপতন কোথায় গিয়ে ঠেকবে- ঘুরেফিরে সবার মুখে একই প্রশ্নই ঘুরছে। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় বাজেট ঘোষণার পর গত তিন কার্যদিবসে তালিকাভুক্ত ৩৯৬ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ৩৫৮টির বা ৯০ শতাংশের দরপতন হয়েছে। এ দরপতনে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৬৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৫০৭০ পয়েন্টে নেমেছে। সূচকের এ অবস্থান ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর বা সাড়ে তিন বছরের সর্বনিম্ন।

গতকালের বড় দরপতনের পর সোমবারও বড় দরপতনের মধ্য দিয়ে শেয়ারবাজারের লেনদেন শুরু হয়েছে। আজ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর আধাঘণ্টা পরপরই ২৯৩টি শেয়ার দর হারায়।

ফের লাগাতার দরপতনের কবলে শেয়ারবাজার। লাগাতার বড় দরপতনের আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করছেন বিনিয়োগকারীরা। ভালো বা মন্দ, সব ধরনের শেয়ার দরপতনের কবলে। আগের ছয় কার্যদিবসের মধ্যে পাঁচদিনের দরপতনের ধারাবাহিকতায় আজ বুধবারও লেনদেন শুরু হয়েছে দরপতনে। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা না পেরোতোই শতাধিক শেয়ার ক্রেতা শূন্য হয়েছিল। তবে ক্রেতা শূন্য শেয়ারগুলোর অধিকাংশই দুর্বল মৌলভিত্তির।

শেয়ারবাজার মানেই যেন দর পতন, বিনিয়োগকারীদের হাহাকার। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ধস নামার পর দর পতনের দুষ্টচক্রে আটকে আছে এ বাজার। মাঝেমধ্যে কিছু শেয়ারের দর সাময়িকভাবে বাড়লেও তাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কারসাজির চক্র লাভবান হয়, পুঁজি হারান সাধারণ বিনিয়োগকারী।