মঞ্চে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। তাঁর পাশে মুজিব কোট ও পাঞ্জাবি পরে বসে আছে বৃষ্টি আক্তার। তেজগাঁও শিশু নিবাস কেন্দ্রের এ শিশু আজ শুক্রবার সমাজসেবা অধিদপ্তরে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে।

ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) সৈয়দ মো. নূরুল বাসির, বাংলাদেশ সমাজসেবা অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. সাফায়েত হোসেন তালুকদার ও বাংলাদেশ সমাজসেবা কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম ফারুক। 

এতিমখানার শিশু বৃষ্টি আক্তার যখন বক্তব্য শুরু করে, তখন পুরো হলরুমে পিনপতন নীরবতা। সবাই মুগ্ধ হয়ে তার দিকে তাকিয়ে। তার কণ্ঠে বেরিয়ে এলো বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ। তার প্রতিটি উচ্চারণ যেন, স্বাধীনতার অগ্নিঝরা দিনগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

শুধু বৃষ্টি নয়, আজ ছিল কয়েকশ' এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর উৎসবের দিন। নেচে গেয়ে তারা জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে। যেন ক্ষণিকের জন্য তারা ভুলে যায় সব কষ্ট। পরিচয়হীন শিশুরাও বঙ্গবন্ধুকে জানার মাধ্যমে ফিরে পায় নিজের অস্তিত্ব।

পুরো আয়োজনে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয় শিশুদের। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বেলুন উড়ানো, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে সামনে সারিতে ছিলেন সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুরা। রাজধানীর পাশাপাশি সারাদেশে শিশু পরিবারের ২০ হাজার শিশু রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

শিশুরা যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে সে জন্য তাদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান সমাজকল্যাণমন্ত্রী।