কাজে আসছে না ৭ কোটি টাকার সেতু

উল্লাপাড়ার বিলসূর্য নদীর ওপর নির্মিত সংযোগ সড়কবিহীন সেতুট
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪ | ১৬:৫৯ | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪ | ১৭:০২
সংযোগ সড়কের অভাবে উল্লাপাড়ার বিলসূর্য নদীর ওপর সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি এ অঞ্চলের মানুষের কাজে আসছে না। এখানে বড় যানবাহন চলাচল দূরের কথা, রিকশা-ভ্যান বা মটর সাইকেলেও সেতু পারাপারে চালক ও যাত্রীদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে উল্লাপাড়া পৌরসভার বারোইয়া মহল্লায় ৯৬ ফুট লম্বা সেতুটির কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর কাজ শেষ হয়। কিন্তু এখনও সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিলসূর্য নদীর ওপর সেতু নির্মাণের পর দুই পাশে সংযোগ সড়কের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহন করা হয়। কিন্তু ভূমি মালিকদেরকে কিছু জটিলতার কারণে মূল্য পরিশোধে বিলম্বিত হয়। পরে ভূমি অধিগ্রহনের সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এখন সেতুর দুই পাশে সরকারি জায়গায় বড় আকৃতির ২৩টি সেগুন, মেহগুনি, কড়ই, ইউক্যালিক্টাস ও শালগাছ রয়েছে। এই গাছগুলো সংযোগ সড়ক নির্মানের অন্তরায়। গাছগুলো নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম, জিতেন বিশ্বাস, অরুপ সাহা ও অরুণদ্যুতি জানান, স্বাধীনতার পর থেকে বারোইয়া খেয়া ঘাটে একটি পাকা সেতু নির্মানের দাবি জানিয়ে আসছিল এলাকাবাসী। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে এলজিইডি ২০২২ সালে ওই স্থানে সাত কোটি টাকা ব্যয় করে একটি সেতু নির্মাণ করে। তবে দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণের অভাবে সেতুটি এ অঞ্চলের মানুষের কোনো কাজেই আসছে না। সেতু নির্মানের পর প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা মই ব্যবহার করে সেতুটি ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতেন। মাস ছয়েক আগে পৌরসভা থেকে দুই পাশে কিছু মাটি ফেলে দেওয়া হয়। এখন এই সেতুতে বড় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। শুধু ভ্যান, রিকশা বা মটর সাইকেল নিয়ে অনেক কষ্টে সেতুটি পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী।
এলজিইডির উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ বলেন, দুই পাশে যথাযথ পরিমাপে সংযোগ সড়ক নির্মাণে সেতুর দুই পাশে সরকারি রাস্তায় ২৩টি বড় গাছ কেটে ফেলার প্রয়োজন। কিছুদিন আগে নিলামে গাছ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে ক্রেতারা গাছগুলোর সরকারি মূল্যের চাইতে কম মূল্য বলায় তা বাতিল হয়ে যায়। আবারও নিলাম কার্যক্রম চলছে। শিগগিরই সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি আশাবাদী।