ক্র্যাশ ডায়েট কেন করা উচিত নয়?
ছবি-সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৪:০৯
কোন একটা অনুষ্ঠানের আগেই আমরা শরীরের ওজন কমানোর কথা ভাবি। যে করেই হোক ৫ থেকে ৭ কেজি ওজন কমাতে, এমন প্রত্যাশা নিয়ে ক্র্যাশ ডায়েট করতে শুরু করেন অনেকে।
সকালে উঠে পানি দিয়ে ওট্স, দুপুরে একটা আপেল, সারা দিন শুধু কয়েক গ্লাস ফলের রস, সন্ধ্যাবেলা এক কাপ গ্রিন টি— পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়াই ডায়েট শুরু করেন তারা। এমন ডায়েট করে অল্প দিনেই কয়েক কেজি ওজন কমিয়ে ফেলা যায় কিন্তু জুড়ে বসে হাজার রকম শারীরিক সমস্যা। এই ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে ঘন ঘন মাথা ঘুরে যাওয়া, চোখের তলায় কালি, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া এ রকম নানা সমস্যা বাসা বাঁধেন।
১) এই প্রকার ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে শরীরে পানির ঘাটতি হতে পারে। এই সময়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম ফ্যাট খাওয়া হয়, তখন দেহকোষ পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট পায় না। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতেই সে শরীরের অতিরিক্ত পানি শুষে নেয়। যার ফলে গ্লাইকোজ়েন ভেঙে যায়। আর গ্লাইকোজ়েন ভাঙলেই পানিশূন্যতা তৈরি হয়। ডিহাইড্রেশন হলে সঙ্গে সঙ্গে তার প্রভাব পড়ে ত্বক ও শরীরের উপর।
২) শরীরে শক্তি আসে ক্যালোরি থেকে। হঠাৎ করে কম ক্যালোরির খাবার খেলে শরীরের পেশির উপর প্রভাব পড়ে। পেশির শক্তি কমে আসে। ক্লান্তি আসে। সারা ক্ষণ ঝিমুনি ভাব দেখা দেয়। কাজকর্মে অনীহা দেখা দেয়।
৩) ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় অনেকখানি। ফলে বিষণ্ণতা, ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন ইত্যাদি হতেই পারে।
৪) ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে বিপাকক্রিয়ার হার কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
৫) সময়ে সকলেই জেল্লাদার ত্বক চান। ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে দেহে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন আর মিনারেলের ঘাটতি হয়। ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। চুল পড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত মাসিকের সমস্যাও দেখা যায়।
ক্র্যাশ ডায়েটকে অনেক পুষ্টিবিদও সমর্থন করেন না। সঠিক নিয়ম মেনে ডায়েট করলে ১ মাসে ৩ থেকে ৪ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। তবে সেই ডায়েট শুরু করতে হবে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে।
- বিষয় :
- ওজন কমায় খাবার
- ওজন কমানো
- স্বাস্থ্য
- ডায়েট