ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করেন বেকাররা

আবু হেনা মুহিব
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ | ১৩:১২
দেশে কর্মজীবীদের চেয়ে বেকাররাই কম্পিউটার ও ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করে থাকেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ বলছে, বেকারদের প্রায় ৭৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। অথচ বেতনভোগী কর্মজীবীদের মধ্যে এ হার ৫৫ শতাংশের কম। স্বনিয়োজিতদের মধ্যে এ হার আরও কম। এ ধরনের উপার্জনক্ষমদের মাত্র ৪৩ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আবার শ্রমবাজারে নেই– এমন শ্রেণির মানুষের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ৩৮ শতাংশ। সব মিলিয়ে বর্তমানে দেশে ৪৪ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। খানা বা পরিবারে মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার হয়। এ হার প্রায় ৬০ শতাংশ।
জরিপের ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, গ্রামের চেয়ে শহরে ইন্টারনেট ব্যবহার দ্বিগুণেরও বেশি। গ্রামের ৩০ শতাংশেরও কম খানায় ইন্টারনেট সংযোগ আছে। শহরে এ হার ৬৩ শতাংশেরও বেশি। সব মিলিয়ে ৩৮ শতাংশ খানায় ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীরা এখনও কিছুটা পিছিয়ে আছেন। শহর ও গ্রাম উভয় ক্ষেত্রেই এ প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। তবে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে চিত্রটি ভিন্ন। গ্রাম-শহর উভয় ক্ষেত্রেই নারীরা মোবাইল ফোন বেশি ব্যবহার করে থাকেন। জরিপের তথ্য বলছে, শহরের ৯০ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ মোবাইল ব্যবহার করেন। শহরের নারীদের মধ্যে এ হার ৯১ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে গ্রামে এ হার প্রায় সমান– ৯০ শতাংশের কিছু কম। প্রতিবেদনের নির্বাহী সারসংক্ষেপে বলা হয়, সরকার, নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অর্জন বুঝতে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য এ জরিপ থেকে আইসিটি সূচকের তথ্য ও প্রয়োজনীয় পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে।
ইন্টারনেটের মতো কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও গ্রাম-শহর ব্যবধান ৮ গুণেরও বেশি। কম্পিউটার আছে গ্রামে এমন খানার হার ৩ শতাংশ। শহরে এ হার প্রায় ২৬ শতাংশ। সারাদেশে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ খানায় এখন কম্পিউটার ব্যবহার হচ্ছে। তবে টেলিভিশনের ক্ষেত্রে গ্রাম আর শহরের মধ্যে ব্যবধান খুব কম। অন্তত ১টি টেলিভিশন আছে গ্রামে এ রকম খানার হার প্রায় ৫৭ শতাংশ। শহরে যা ৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আবার খানাপ্রধানের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে আইসিটির ব্যবহার কম-বেশি হয়ে থাকে।