প্রতিবেশ

আমাদের চারপাশে সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ডসহ নানা দুর্যোগ প্রতিনিয়ত ঘটছে। তাই নাগরিক জীবনে এগুলো প্রায় স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। তবে যতক্ষণ এ ধরনের বিপর্যয় আমাদের ব্যক্তিজীবনে নেমে

রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে মেঘালয় ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে সীমান্তবর্তী জেলা সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা। মেঘ, পাহাড়, নীলাদ্রি লেক আর যাদুকাটা নদীর দেশ হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশে একটি মজার বিষয় হলো, আঞ্চলিকতার টান। কোথাও না কোথাও আমরা সবাই একবার হলেও শুনেছি, ‘বাড়ি কই আপনার?’ রকমারি উত্তরের ভিড়ে আমার উত্তরটা একেবারে সাদামাটা– বাড়ি ঢাকা। কাজের চাপে অথবা অন্য প্রয়োজন ছাড়া ঢাকা শহর হিসেবে কারও কাছে তেমন প্রিয় না। 

মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ানো প্রজাপতি, ফড়িং, পাখি কিংবা বনের বড় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানায় আবদ্ধ করার প্রয়োজন পড়ে না। তাদের নেই কোনো সীমানা। ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে পারে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে।

উপকূলীয় সৈকত, বিশেষত ‘ডেইল’ বা বালুর ঢিবির প্রতিবেশগত পুনরুদ্ধার বিষয়ে সমকালে লিখেছিলাম গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর। এক বছরে সেখানকার প্রতিবেশগত অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।

প্রকৃতিতে প্রজাপতির গুরুত্ব অপরিসীম। পরাগায়ন থেকে শুরু করে খাদ্যশৃঙ্খলে এদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কবিতা-সাহিত্য থেকে ইকো-ট্যুরিজম সবখানেই এদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। পরিবেশের বিভিন্ন নিয়ামক, যেমন– তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, মাটির গুণাগুণ, আলোক তীব্রতা, উদ্ভিদের উপস্থিতির সামান্যতম পরিবর্তনের ওপরও তারা সংবেদনশীল।