উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক

লুৎফুল হাবিব রুবেল
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩:৪৬ | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫:০৪
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেল মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার সকালে তিনি এ ঘোষণা দেন। রুবেল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক।
এর আগে গতকাল (২০ এপ্রিল) উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় রুবেলকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না মর্মে আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোরও নোটিশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক টেলিফোন করে রুবেলকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
রুবেল জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এবং দলের নেতৃবৃন্দের গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে দল যে সিদ্ধান্ত নিবে তা মাথা পেতে নেবেন বলে জানান তিনি। আজ (রোববার) যেকোনো সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার বিষয়ে লিখিতভাবে জানাবেন।
তবে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ এবং মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি তিনবার সেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এর মধ্যে দুইবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকা প্রতীক নিয়েও নির্বাচন করেছি। প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে একটি নাটক সাজানো হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, বর্তমানে যে উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন।
তিনি বলেন, এটি একটি ষড়যন্ত্র। আমাকেসহ আমার পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশে ষড়যন্ত্র করে এ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণের পর মারধর করে তার বাাড়িতে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই মজিবর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে প্রথমে সানোয়ার হোসেন সুমন এবং নাজমুল হোসেন বাবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সুমন আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে লুৎফুল হাবিব রুবেলের নির্দেশে পাশাকে অপহরণ ও মারধরের কথা জানান।